বাংলাদেশের ক্রিকেটে নিয়মই হয়ে দাঁড়িয়েছে এটা। বীরবেশে কেউ অধিনায়ক হবেন,
কিন্তু বিদায়বেলায় তিনিই ভিলেন! সাকিব আল হাসানের বেলায়ও ব্যত্যয় ঘটল না।
জিম্বাবুয়ে সিরিজে নেতৃত্বে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে জাতীয় দলের অধিনায়কের পদ
থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। শুধু সাকিব নন, একই অভিযোগে সহ-অধিনায়কের পদ
থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তামিম ইকবালকেও। কাল বিসিবির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে
এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস।
পরবর্তী অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক কারা সে সিদ্ধান্ত কালই না হলেও জানা গেছে
অধিনায়ক হিসেবে মুশফিকুর রহিমকেই বেশি পছন্দ বোর্ড পরিচালকদের।
জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, জিম্বাবুয়ে থেকে ফিরে হেড অব ডেলিগেশন শফিকুর রহমান, ম্যানেজার তানজীব আহসান, নির্বাচক হাবিবুল বাশার এবং কম্পিউটার অ্যানালিস্ট নাসির আহমেদের দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে বোর্ড অধিনায়ক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলের সঙ্গে যাওয়া নির্বাচক হাবিবুল বাশারকেও সভায় ডাকা হয়েছিল তাঁর পর্যবেক্ষণ জানাতে। জালাল ইউনুস জানালেন, ‘রিপোর্টগুলো দেখে বোর্ড মনে করেছে, জিম্বাবুয়ে সিরিজে সাকিব-তামিম দলকে যথাযথভাবে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁরা সিরিজটাকে সিরিয়াসলি নেননি। সে কারণেই সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত। নতুন অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে।’ অপসারণ করা হয়েছে ম্যানেজার তানজীব আহসানকেও। নতুন ম্যানেজারের জন্য অচিরেই বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মিডিয়া কমিটির প্রধান। এ ছাড়া জিম্বাবুয়ে সফরে কোচের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে তামিম ও শাহরিয়ার নাফীসের বিরুদ্ধে। তাঁদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।
জালাল ইউনুস যতই দাবি করুন, বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, সাকিব-তামিমের নেতৃত্ব কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তটি সর্বসম্মতিক্রমে হয়নি। বোর্ডের অন্তত একজন পরিচালক সভায় তাঁদের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। এমন সিদ্ধান্তের আগে সাকিব-তামিমের সঙ্গে আলোচনারও পরামর্শ দেন তিনি বোর্ডকে। সূত্র জানিয়েছে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সাকিব-তামিমের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনাই করেনি বোর্ড। দেওয়া হয়নি আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও। বিসিবির প্রধান নির্বাহী মনজুর আহমেদও স্বীকার করেছেন, ‘সাকিব-তামিমের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি।’ শুধু তা-ই নয়, বোর্ড সভায় গৃহীত এত বড় সিদ্ধান্তটি খোদ ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান এনায়েত হোসেনই জেনেছেন টেলিভিশনের খবরে, ‘নিজের একটা মিটিং থাকায় আমি বোর্ড সভায় যেতে পারিনি। খবরটা টেলিভিশনে দেখেছি। আমি তো জানতামও না এ রকম একটা সিদ্ধান্ত হচ্ছে বা হয়েছে! এটা সভার আলোচ্যসূচিতেও ছিল না। আমি তাই বলতে পারব না কিসের ভিত্তিতে, কী কারণে বোর্ড এমন সিদ্ধান্ত নিল।’ অধিনায়কত্ব, সহ-অধিনায়কত্বের মতো পুরোপুরি টেকনিক্যাল একটি বিষয়ে এত বড় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে সভায়, তাতে ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মঈনুদ্দীন চৌধুরী কামরুও উপস্থিত ছিলেন না। ২৫ জন বোর্ড পরিচালকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১৬-১৭ জন।
২০০৯ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে মাশরাফি চোট পাওয়ার পর হঠাৎ অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন সাকিব। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ জেতে। গত বছর অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করায়ও নেতৃত্ব দেন সাকিব। মাঝখানে মাশরাফি অধিনায়ক হলেও তিনি আবার ইনজুরিতে পড়লে ২০১১ বিশ্বকাপের আগে সাকিবকে এক বছরের জন্য অধিনায়ক করা হয়। মাস ছয়েক না যেতেই সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বোর্ড। মনে যা-ই থাক, আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় সাকিব কোনো অসন্তোষের কথা জানাননি। মাগুরায় ছুটি কাটাতে যাওয়া সাকিব খবরটা কাল জেনেছেন সাংবাদিকদের ফোন পেয়ে। টেলিফোনে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সদ্য সাবেক অধিনায়ক বললেন, ‘বোর্ড যা ভালো মনে করেছে, তাই করেছে। এ ব্যাপারে কিছু বলার নেই। বোর্ড নিশ্চয়ই সব ভেবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমার কাজ খেলা। চেষ্টা করব, ভালো খেলে জাতীয় দলকে আমার সর্বোচ্চ সার্ভিস দিতে।’ ছুটি কাটাতে দেশের বাইরে থাকা সহ-অধিনায়ক তামিম ইকবাল এ ব্যাপারে কালই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। সাকিব-তামিম দুজনেরই আজকের মধ্যে ঢাকায় ফেরার কথা।
জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, জিম্বাবুয়ে থেকে ফিরে হেড অব ডেলিগেশন শফিকুর রহমান, ম্যানেজার তানজীব আহসান, নির্বাচক হাবিবুল বাশার এবং কম্পিউটার অ্যানালিস্ট নাসির আহমেদের দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে বোর্ড অধিনায়ক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলের সঙ্গে যাওয়া নির্বাচক হাবিবুল বাশারকেও সভায় ডাকা হয়েছিল তাঁর পর্যবেক্ষণ জানাতে। জালাল ইউনুস জানালেন, ‘রিপোর্টগুলো দেখে বোর্ড মনে করেছে, জিম্বাবুয়ে সিরিজে সাকিব-তামিম দলকে যথাযথভাবে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁরা সিরিজটাকে সিরিয়াসলি নেননি। সে কারণেই সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত। নতুন অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে।’ অপসারণ করা হয়েছে ম্যানেজার তানজীব আহসানকেও। নতুন ম্যানেজারের জন্য অচিরেই বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মিডিয়া কমিটির প্রধান। এ ছাড়া জিম্বাবুয়ে সফরে কোচের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে তামিম ও শাহরিয়ার নাফীসের বিরুদ্ধে। তাঁদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।
জালাল ইউনুস যতই দাবি করুন, বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, সাকিব-তামিমের নেতৃত্ব কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তটি সর্বসম্মতিক্রমে হয়নি। বোর্ডের অন্তত একজন পরিচালক সভায় তাঁদের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। এমন সিদ্ধান্তের আগে সাকিব-তামিমের সঙ্গে আলোচনারও পরামর্শ দেন তিনি বোর্ডকে। সূত্র জানিয়েছে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সাকিব-তামিমের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনাই করেনি বোর্ড। দেওয়া হয়নি আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও। বিসিবির প্রধান নির্বাহী মনজুর আহমেদও স্বীকার করেছেন, ‘সাকিব-তামিমের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি।’ শুধু তা-ই নয়, বোর্ড সভায় গৃহীত এত বড় সিদ্ধান্তটি খোদ ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান এনায়েত হোসেনই জেনেছেন টেলিভিশনের খবরে, ‘নিজের একটা মিটিং থাকায় আমি বোর্ড সভায় যেতে পারিনি। খবরটা টেলিভিশনে দেখেছি। আমি তো জানতামও না এ রকম একটা সিদ্ধান্ত হচ্ছে বা হয়েছে! এটা সভার আলোচ্যসূচিতেও ছিল না। আমি তাই বলতে পারব না কিসের ভিত্তিতে, কী কারণে বোর্ড এমন সিদ্ধান্ত নিল।’ অধিনায়কত্ব, সহ-অধিনায়কত্বের মতো পুরোপুরি টেকনিক্যাল একটি বিষয়ে এত বড় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে সভায়, তাতে ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মঈনুদ্দীন চৌধুরী কামরুও উপস্থিত ছিলেন না। ২৫ জন বোর্ড পরিচালকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১৬-১৭ জন।
২০০৯ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে মাশরাফি চোট পাওয়ার পর হঠাৎ অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন সাকিব। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ জেতে। গত বছর অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করায়ও নেতৃত্ব দেন সাকিব। মাঝখানে মাশরাফি অধিনায়ক হলেও তিনি আবার ইনজুরিতে পড়লে ২০১১ বিশ্বকাপের আগে সাকিবকে এক বছরের জন্য অধিনায়ক করা হয়। মাস ছয়েক না যেতেই সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বোর্ড। মনে যা-ই থাক, আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় সাকিব কোনো অসন্তোষের কথা জানাননি। মাগুরায় ছুটি কাটাতে যাওয়া সাকিব খবরটা কাল জেনেছেন সাংবাদিকদের ফোন পেয়ে। টেলিফোনে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সদ্য সাবেক অধিনায়ক বললেন, ‘বোর্ড যা ভালো মনে করেছে, তাই করেছে। এ ব্যাপারে কিছু বলার নেই। বোর্ড নিশ্চয়ই সব ভেবেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমার কাজ খেলা। চেষ্টা করব, ভালো খেলে জাতীয় দলকে আমার সর্বোচ্চ সার্ভিস দিতে।’ ছুটি কাটাতে দেশের বাইরে থাকা সহ-অধিনায়ক তামিম ইকবাল এ ব্যাপারে কালই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। সাকিব-তামিম দুজনেরই আজকের মধ্যে ঢাকায় ফেরার কথা।
No comments:
Post a Comment